বল্লাল সেনের দীঘি |
ইতিহাসে সবচে বেশী কিংবদন্তীর নায়ক বল−াল সেন। হাজারো রকমের ঘটনা আর রটনা তাকে নিয়ে। আজো তা মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত। তার বাড়ি, দীঘি, সরাই খানা, অন্দর মহল, বসার আসন ইত্যাদি প্রায় সবকিছুর সাথেই জড়িয়ে আছে মুখরোচক কিছু গল্প। আর এসব গল্প এক এক মুখে এক এক রকমের। এ রটনাগুলো ছাড়া প্রায় আটশত বছরের পুরনো তার বাড়ির কোন চিহ্নই আজ আর অবশিষ্ট নেই। সেখানে গড়ে উঠেছে সাধারণ লোকের বসবাস, তাও প্রায় চার পাঁচ শত বছর আগের। সবটা বাড়ী জুড়ে এখন প্রায় শতাধিক বসতি, গাছ-পালা, টুকরো ফসলের জমি, মাঝে মাঝে ঝোপ-ঝাড়। কোথাও কোন চিহ্ন নেই-কোথায় ছিল তার নিজস্ব কামরা, কোথায় রাণীর ঘর, কোথায়ই বা বসত সভাসদ কিছুই বোঝার বা জানার উপায় নেই! মানুষেরা বল−াল সেনের বাড়ির বুক, কোমর চোখ, কান, মাথা খুড়ে বা চিরে চিরে নিজেদের সুবিধা মতো গর্ত বা নালা কেটে নিয়েছে। তার খিড়কী দরজার পাশ ঘেষে চলে গেছে রামপাল মোক্তারপুর সড়ক। যেখানে সদর দরোজা ছিল সেখানে এখন বিদঘুটে সাপ, ব্যাঙ ও ইদুরের বসবাস। তবু আচে যা কেউ মুছে দিতে পারেনি তা- এ বাড়িটির চারপাশে একবর্গ মাইল বৃত্তাকার প্রশস্থ পরিখা, মিঠা পুকুর, অগ্নিকান্ড এবং মাটির উপরে ও নীচে বিদ্যমান অসংখ্য ইটের কাঁকর। আর রাস্তার পাশে একটি গজারী গাছের ভগ্নপ্রায় অংশ, যেখানে রাজা তার হাতী ঁেবধে রাখতো। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস