সুখবাসপুর দিঘী
প্রাচীন বিক্রমপুর তথা বর্তমান মুন্সীগঞ্জ ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে পুরো দেশ জুড়ে বেশ বিখ্যাত। এই নগরীতে ঐতিহাসিক অনেক স্থান ও অসাধারণ সব দর্শনীয় স্থাপনাও রয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের সুখবাসপুর দিঘি তেমনি একটি স্থান। জনশ্রুতিতে জানা যায় রামপাল যখন পাল ও সেন রাজাদের রাজধানী ছিল তখন তারই পাশে গড়ে উঠেছিল অভিজাত এলাকা সুখবাসপুর। এলাকার মানুষের পানীয় জলের কষ্ট নিবারণের জন্য খনন করা হয় সু-বিশাল এই সুখবাসপুর দীঘি।
দিঘীটি এলাকার মানুষের সমস্যা নিবারণ করেছিল সেই সময়ে। দিঘীটির সৌন্দর্য এবং বিশালতা পথ চলা পথিককে এক মুহূর্তের জন্য বিমোহিত করে তোলে। এর চারদিকের সবুজ বন-বনানী দিঘীটির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে কয়েকগুণ। শীতের সময় হাজার হাজার অতিথি পাখির কল-কাকলীতে চারদিক মুখরিত হয়ে উঠে। যা এক মনো-মুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি করে এখানে। দিঘীর উত্তর পাশে বিশাল কদবেলের এক বাগানও রয়েছে।
এই দিঘীটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল সকল ঋতুতেই এর পানির স্তর একই রকম থাকে। অর্থাৎ গ্রীষ্মের খর তাপে যখন খাল-বিল শুকিয়ে যায় কিংবা বর্ষার অতি বর্ষণে যখন চারদিক পানিতে থৈ থৈ করে তখনও, অবিশ্বাস্য ভাবে এই দিঘীর পানি একই রকম থাকে। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি বহু এলাকার মানুষ প্রতিদিন দিঘীটি দেখতে ছুটে আসেন এখানে। এলাকাটিতে আরও অধিক যত্ন নিয়ে এখানে ভাল ভ্রমণ জায়গা রূপান্তর ঘটান সম্ভব।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস